Sunday, March 4, 2018

TOILET - Ek Prem Katha (টয়লেট - একটি প্রেমের কথা)



একটি ভারতীয় সিনেমার কথা-->
খোলা আকাশের নিচে, খোলামেলা জায়পায়, ঝোপে, জঈলে, ক্ষেতে, রেল-লাইনে
পেট সাফের কাজ করার তালিকায় বিশ্বের জরিপে ভারতের নাম ১নম্বর তালিকায় থাকার কারন কি সিনেমাটি দেখে ধারনা পেলাম।

কাহিনী সংক্ষেপঃ
সিনেমার শুরুতে নায়ক-নায়িকার বিয়ের পর নায়িকা নায়কের বাড়িতে এসে দেখে তাদের বাড়িতে কোন টয়লেট নাই। বাড়ির সব মানুষ খোলা জায়গায় পেট সাফ করতে যায়।নায়িকা, নায়ক মানে তার স্বামীর কাছে দাবী করে ঘরের ভেতর পায়খানা বানাতে হবে। 
নায়ক তার নিজ বাপের সাথে কথা বলতে যায়, ঘরের ভেতর টয়লেট বানাতে হবে জানায়। নায়কের ইচ্ছায় তার বাপের চরম আপওি। নায়কের বাপ নায়ক কে একটি ডায়লগে বলেন, পেট সাফ করতে হয় খোলা আকাশের নিচে। বেশি লেখা-পড়া করলে যা হয় আরকি। দুই দিনের শিক্ষিত মাইয়া শত বছরের সংসক্রিতি ভাইংগা আইছে ঘরের ভেতর টয়লেট বানাইতে...যা যা আমি মরলে শ্বশানে না নিয়া আমার চিতা ঘরেই জ্বালাইস, তারপর ঘরের ভেতর টয়লেট বানাইস বলে নায়ককে তাড়িয়ে দেন।
চেষ্টার পর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরেও বাপকে রাজি করাতে পারছে না। একের পর এক আইডিয়া। প্রতিদিন সকালে বাইকে চেপে রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে দাড়িয়ে থাকা ট্রেনের ভেতর পায়খানায় পেট সাফ করতে নায়ক তার বউকে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকদিন চলতে থাকে এভাবে। প্রতিদিনের মতো পেট সাফাই করতে গিয়ে একদিন টয়লেট থেকে বেরিয়ে নায়িকা ট্রেনের দরজায় এসে দাড়ায়।
প্লাটফর্মে দাড়িয়ে নায়ক ইশারায় ডাকছে, নামো। নামো।
নায়িকা সেদিন রেগে দাড়িয়েই রইল।
ট্রেন আস্তে আস্তে চলতে শুরু করলে নায়ক তখন উওেজিত গলায় বলতে থাকে, নামো। তারাতারি নামো।
সেদিন নায়িকা আর নামে না। ট্রেনে চড়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। মোবাইল ফোনে নায়কের সাথে কথায় জানায়, ঘরের ভেতর টয়লেট না বানালে সে আর ফিরবে না।
এ খবর পএিকায় পর্যন্ত প্রকাশ করলে নায়ক পএিকা অফিসে সাংবাদিককে পেটাতে গিয়ে ফিরে আসার সময় দেখতে পায় বাজারে সিনেমার শূটিং চলছে। সেখানে তার নজর পরে ভ্রাম্মমান টয়লেটের দিকে। এক বন্ধুর সহযোগিতায় সেখান থেকে একটি টয়লেট চুরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাপ বাইরে গেলে ঘরে ঢুকাবে ঠিক করে আপাতত ঢেকে লুকিয়ে রাখে।
শ্বশুুর বাড়িতে লুকিয়ে রাতে বউয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে ফিরে আসতে অনুরোধ করে। বউকে বলে, গিয়ে যা দেখবা খুশি হবা।
পরের দিন ভ্রম্মমান টয়লেট চুরির দায়ে নায়ককে পুলিশ ধরে নিয়ে লকাপে আটকায়। নায়িকা অভিযোগকারীর সাথে সমঝোতা করে মামলা তুলে নায়ককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এরআগে পএিকা অফিসে সাংবাদিককে পেটাতে গিয়ে জানতে চায় চায়, ওই বেটা সাংবাদিক এমন খবর প্রকাশ করে আমার সাথে মজা করলি কেন বল?
সাবাদিক সাফাই দেয়, যা করেছি আপনার লাভ বলেই করেছি।
লাভ। এতে আবার লাভ কিসের?
এবার আপনার বউয়ের বাড়ির মানুষ লজ্জায় আপনার বউকে ফিরে যেতে চাপ দিবে।
কিন্ত এমন হলোনা। নায়িকার বাড়ির লোকেরাও একই দাবিতে নায়িকার সিদ্ধান্তে অটল।
থানা থেকে নায়ককে ছাড়িয়ে নায়িকা এবার আরো বেশি রাগ নিয়ে বাপের বাড়ি যায়। দূরত্ব আরো বাড়ে। বিচ্ছেদের যন্তনায় গান গায়।
এক পর্যায়ে টয়লেটের সিদ্ধান্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। নায়ক সরকারের নামে মামলা দায়ের করেন। হয়তো শ্বশুর বাড়িতে বউদের ঘরে টয়লেট দিতে হবে, নয়তো আমার বউকে তালাক।


-রফিকুল ইসলাম সাগর
ঢাকা